ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় | আবদুল্লাহ আল মঈনী 

চৈতন্যের চারিধারে উদ্ভাসিত উন্মেষ; ইন্দ্রিয়ের ইশারায় সৃষ্টি-

শ্রবণের সীমান্তে নৈঃশব্দ্যের নৃত্য - দিগন্তে আকাশগঙ্গায় দৃষ্টি।

ঐশ্বরিক মজলিসে, মহাজাগতিক রহস্যে আছে আশীর্বাদের আবেশ -

প্রার্থনা আর প্রত্যাশার ঐকান্তিক ঐশ্বর্যে মুসাফিরের প্রাণবন্ত প্রবেশ।

অসীম প্রান্তরের অভিযাত্রায় প্রেরণার উৎস মনোনীত সেই মুসাফির -

নিগূঢ় বিশ্বাসের ইশারায় অবিনশ্বর আত্মা আজ সবিনয়ে সুস্থির।  


সতত নিয়তে সততার সাথে, সময়ে নিভৃতে প্রকৃতির পথে -

সঠিক সিদ্ধান্তে শুদ্ধতার শপথে – থাকে স্বর্গীয় আশীর্বাদ;

সময়ের আধারে - ইতিবাচক ইচ্ছায় পাবে নিখাদ সুসংবাদ।

শূন্য থেকে উদ্ভব,  আবার শূন্যেই পথযাত্রা – জন্ম হতে মৃত্যুদিকে সময়ের মহামাত্রা – 

সময়ের স্রোতে অভীষ্ট লক্ষ্যের অনান্তিক আহবান – সৃষ্টির কল্যাণে অদ্বিতীয়ের আছে অপার সম্প্রদান;  

যে দান কাজে লাগে বারবার –

কল্যাণেই নিয়োজিত হবে সে আত্মা প্রতিবার;  

সততা, সত্য, আর সরলতা যার শাশ্বত অঙ্গীকার।


মনের দু্র্গে ইতিবাচক সৈন্যেরা সত্যের আয়োজনে মনোযোগী হয় 

মন্দেরা দ্বন্দ্বের চোরাবালিতে আটকে পড়ে অতলে তলিয়ে যায়।

মস্তিষ্কে মহানের মহাকর্ষে -  আপনার মাঝে অনুরণিত ঐশীর ঐকতান, 

প্রার্থনারত মুমিনের বিশ্বাসে ধৈর্যের অপার আনন্দঃ বিধাতার বিধি বিধান।


মহাজাগতিক সমুদ্রে দুঃসাহসিক মুসাফির তোমায় – 

অনেক আশীর্বাদ - জেনে রেখো দৃঢ় এই অগ্রযাত্রায়।

সময়ের সাথে জীবনের পথে হেঁটে যাচ্ছ বহুদূর, চলার মাঝে মরমে আসছে অনুনাদময় সুর;

কর্মমাঝে থাকে সকল গভীর আত্মগোপন, বিবেক দিয়ে খুঁজলে তুমি পাবে সাতকাহন ।

যতটা শক্তি ধারণ করে আছে তোমার এই শুভ্র চিন্তাধারা; ততটাই সমর্থন লালন করে আছে মহাশূন্যে এই বসুন্ধরা।


দৃষ্টির দিগন্তে অসীম সীমান্তে ঐশ্বরিক ইশারা -

গহীনে হৃদয়ে স্রষ্টার স্মরণে প্রাকৃতিক স্রোতধারা।

আমি যখন হারায়ে যাই জনহীন কোন রাজ্যে !

একাকীত্বের অক্টোপাস আমায় বাঁধে না কোন ত্রাসে –

বিশ্বাস - এই কেন্দ্রে আমি ; আছ তুমি পরিধিতে ;

স্রষ্টা তব আশীর্বাদ থাকুক - ঘিরে মম মনচিত্তে ।


আত্মার মাঝে রচিত হয় উপলব্ধির উপাখ্যান ,

বিবেকের মাঝে অনুভবের ছোঁয়া , সত্যের আহবান ।

যে আহবানে জীবনের সাথে যোগাযোগ সরলতায়,

যে সরলতায় শান্তির স্পর্শ , মহাবিশ্বের বিশালতায় ।


বিশ্বাস, ধৈর্য, আর প্রেরণার পরম প্রার্থনায়,

পৌঁছাবে আশাময় দিগন্তের আলোকিত সীমানায়।

যে সীমানায় শুদ্ধশ্বাসে হয় জীবনের অনুভব –

মরমে মননে আস্বাদিত সত্যান্বেষী প্রতিপ্রভ।

ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়েই তৃতীয় নয়ন দেখে কিরণ -

বিবেকের শুভ্রতায় হয় সত্যে অবগাহন ।


I BUILT MY SITE FOR FREE USING